ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৬০ ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনের হামাস গোষ্ঠীর রকেট হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকার হাসপাতালে অন্তত ১৬০ জন নিহত এবং আরও ১ হাজারের বেশি জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৫ হাজার রকেট হামলা শুরু করে হামাস। তার জবাবে এবার গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, এই সংখ্যার মধ্যে সম্ভবত যারা বিমান হামলায় এবং দক্ষিণ ইসরায়েলে সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল তারা অন্তর্ভুক্ত।

ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে এসব ফিলিস্তিনিরা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

এদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মারা গেছেন অন্তত ৪০ জন। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫০ জনে। ইসরায়েলি সরকার হতাহতের এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।

হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, শনিবার ভোরে হামাসের আকস্মিক হামলার পর দেশ যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। ইসরায়েলের নাগরিকরা, আমরা যুদ্ধে আছি। কোনো অপারেশনে নয়, রাউন্ডে নয়, যুদ্ধে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছিলেন, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলে ২২০০ রকেট ছুড়েছে হামাস। এ ছাড়াও স্থল, আকাশ ও নৌপথে হামাসের সদস্যরা ইসরাইলে প্রবেশ করছেন।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে হামাস গুরুতর ভুল করেছে। আইডিএফ সৈন্যরা (ইসরাইলি সেনাবাহিনী) প্রতিটি অবস্থানে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনির এক উপদেষ্টা শনিবার ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের বিগত বছরগুলোতে সবচেয়ে বড় হামলা করায় অভিবাদন জানান। রাহিম সাফাভি নামের ওই উপদেষ্টা বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের স্বাগত জানাই। যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমের স্বাধীনতা অর্জন হচ্ছে না, আমরা ফিলিস্তিনিদের যোদ্ধাদের পাশে থাকতে চাই।

এসএস